- তুই অাজ বাসায় অায়। কথাটা বলেই মা ফোন টা কেটে দিলো। না জানি অামা জন্য কি অপেক্ষা করছে। এ বয়সে এসে যদি মায়ের বকা শুনতে হয় কেমন লাগে?? ঘরে তো এক শাঁকচুন্নি পুষে রাখছি। তার জন্য সব সময় বকা শুনতে হয়। কিছু একটা বললেই তা মাকে বলে দেয়। অার মা ইচ্ছা মত ঝাড়ে। ওফফ অসহ্য, শাঁকচুন্নি টা হলো অামার বৌ অর্পা। মায়ের অনেক অাদরের বৌ কিছু বলা যায় না। তিনি যা বলবেন অামাকে তা মানতে হবেে না হলে মাকে বলে দিবে। মাও হয়েছে তার কথা একদম অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। অাজ শুক্রবার তাই উনার সাথে থাকতে হবে সারাদিন। অামার অার কোনো কাজ নেই। পারবোনা বলে বেরিয়ে এলাম সেই সকাল বেলা অার বাসায় যাইনি। নিশ্চাই সে কথা বলে দিছে মাকে। মা অামার উপর রেগে অাছে। অাজ একটু বকা না দিলে ঠিক হবে না। মাকেও কিছু বলতে পারি না। এতবড় ছেলেকে বকতে একটুও বাধে না। অাস্তে বাসার দিকে যাচ্ছি। অার মনে করছি কিছু বলছিলো নাকি অানার জন্য। না হলেতো অাবার যুদ্ধ বেধে যাবে। নাহহ কিছু মনে পড়ছে না। - এই দাড়া এই সেরেছে মা প্রথমেই ওহহ বাচা গেলো না - হুমম কি?? - কোথায় ছিলি এতখন?? - কেন বাইরে?? - বাইরে কি?? - মা অামি এখনো ছোট নই। - হ্যা তা তো দেখতেই পারছি। বলদের মত চাকরি একটা কর অার মাস শেষে টাকা দিয়ে দাও পরিবারের কোনো খেয়াল অাছে তোমার?? এমন বড় হয়েছো যে হুইল অানতে বলেছিলো তাও অানতে ভূলে গেছো। নিজের জামা কাপড় গুলো কি এমনি এমনি ধোয়া হয়ে যায়?? অার মেয়েটা অাজ সাথে থাকতে বলেছে ওমনি উনি উধাও। বাহহ অামার উনি দরজার পাশে দাড়িয়ে সব শুনছে অার হাসছে। তোর জন্য বকা শুনতে হচ্ছে শাঁকচুন্নি। অাজ তোর একদিন কি অামার একদিন - ওই কি হইছে হ্যা?? পেটের মধ্যে কথা থাকে না?? - থাকবে কেন?? - কি অাজব নিয়ে পড়লামরে বাবা। - ওই অামি কি?? অামি কি?? - উফফ তুমি না অামিই পাগল। এইবাসার সবাই অনেক বড় মানুষ। অামি মানুষ না। অামি থাকবো না এবাসায়। - হেহেহে মেয়েদের মত করে কেমন। - অামি মেয়ে?? - মেয়েরা তো এরকম করে। - অাচ্ছা ঠিক অাছে চলে যাচ্ছি অার অসবো না। - এই কই যাও খেয়ে যাও বলছি। - তোমার খাওয়া তুমি খাও। . বাসা থেকে বের হয়ে চলে এলাম। মানুষ গুলো ভাবেটা কি অামাকে?? অামি পাগল?? একটুও দাম নেই অামার? যাবো না। বাসায় অার যাবো না। কিন্তু এখন যাবো কোথায়?? দুপুর থেকে বিকাল হয়ে গেলো এখনো কিছু খাইনি। রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চ এ বসে অাছি। বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে এলো। রাগটা একটু কমেছে। মায়ের কথা মনে পড়ছে। নাহহ বাসার দিবে যাই। অামার দাম না থাকলে কি হবে ভালোতো নিশ্চই বাসে। অাস্তে অাস্তে বাসার দিকে গেলাম। মা চেয়ারের উপর বসে অাছে। অর্পা রুমে। ঢুকে সারাসরি রুমে চলে গেলাম। অর্পা দেখি শুয়ে শুয়ে কাদছে। মা কথা বলছেনা। না বললে নাই। অামার কি? খুদা লাগছে কিন্তু। শুয়ে পড়লাম। অনেক রাত হয়ে গেছে। খুদাও বাড়ছে। মা এসে ডেকে গেলো খেতে খুদা নাই বলে দিলাম। শুয়ে অাছি।তাদের মনে হয় খাওয়া হয়ে গেছে। হুহহ এই ভালোবাসে। অার একবার বললোও না। কেন যে বাসায় অাসছি? অর্পা এসে শুয়ে গেলো। উল্টাদিকে ঘুরে। পেটে ভীষন খুদা সারাদিন খাইনি। অারো রোদের মধ্যে বসে ছিলাম। ভালো লাগছেনা এখন। . কখন ঘুমিয়ে পড়লাম জানি না। জেগে দেখি মাথায় ভেজা কাপড়। ওহহ অামার জ্বর হয়ে গেলো?? তাকিয়ে দেখি অর্পা কান্না করছে। মনটা খারাপ হয়ে গেলো। - কান্না কর কেন?? - কই?? কিছু না। - ওহহ - তুমি এমর কেন?? - কেমন?? - এতো রাগ কিসের হ্যা? জানো তোমার জন্য অামার কত কষ্ট হয়। অামি সারা রাত না খেয়েছিলাম। অার তুমি?? নারা দিন না খেয়ে জ্বর বাধিয়ে এখন অাবার কষ্ট দিচ্ছো। তোমাকে বকছে বলে এমন করতে হবে?? অামার কষ্ট হয়না বুঝি?? তুমি ছাড়া অামার কে অাছে?? তোমার কিছু হয়েগেলে অামার কি হবে ভেবেছো?? - কিছু বলতে পারছিনা। অাসলে মেয়েটি ঠিকি বলছে। এতো রাগ করা ঠিক হয়নি। পালগ অামার কিছু হবে না। - বলো অার কখনো এমন করবেনা। - অার কখনো এমন করবোনা। - অামি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারি না। - অামিও। - কেন? - ভালোবাসি । - অামিও। - কি?? - ভালোবাসি। বুকের উপর শুয়ে পড়লো। - বাহহ রোগীর ওপর এতবড় জিনিস পড়লে সেতো মারা যাবে। - যাহহ দুষ্টু। - না যাবো না। কাছে অাসো। একসাথে ঘুম হয়ে যাক।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর
বিয়ের পরের প্রেমটাই আসল এবং জরুরী। ভালো লেগেছে, শুভেচ্ছা, ভোট আর আমার গল্পে আমন্ত্রণ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।